১২ টি আসন এর দখল কার ? ১২ টি নারকেল বনাম ১২ টি ডাব ! রাজনীতিতে নতুন মাত্রা

20th September 2020 2:39 pm বাঁকুড়া
১২ টি আসন এর দখল কার ? ১২ টি নারকেল বনাম ১২ টি ডাব ! রাজনীতিতে নতুন মাত্রা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  শাসক দলের দেখানো পথেই এবার হাঁটলো বিজেপি। শনিবার তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি ও রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা শহর সংলগ্ন এক্তেশ্বর মন্দিরে ১২ টি নারকেল ফাটিয়ে জেলার ১২ বিধানসভা জয়ের প্রার্থণা জানিয়েছিলেন। এবার রবিবাসরীয় সকালে বিজেপির রাজ্যস্তরীয় নেতা রাজু ব্যানার্জী জয়রামবাটি মাতৃমন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি সিংহবাহিনী মন্দিরে ১২ টি ডাব উৎসর্গ করে জেলার ১২ টি বিধানসভা কেন্দ্র তাদের দখলে নেওয়ার প্রার্থণা জানালেন। বিগত ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে উজ্জীবিত গেরুয়া শিবির। জেলার দুই লোকসভা কেন্দ্র শাসক দলের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ১২ বিধানসভা কেন্দ্রেই এগিয়ে তারা। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোতে চাইছে তারা। গেরুয়া শিবিরের এই মুহূর্তে একটাই লক্ষ্য বাংলার কূর্শি দখল। এদিন জয়রামবাটি মাতৃমন্দির সংলগ্ন সিংহবাহিনী মন্দিরে ১২ টি ডাব উৎসর্গ করে বিজেপি নেতা রাজু ব্যানার্জী বলেন, তৃণমূল ১৯ এ হাফ, ২১ এ সাফ হয়ে যাবে। এরপরেই আত্মবিশ্বাসী এই বিজেপি নেতা বলেন, বাংলায় আমরাই জিতবো। জেলার ১২ টি আসন যাতে আমরাই জিতি সেই প্রার্থণাই জানালাম। করোনা থেকে মুক্তি ও অশুভ শক্তি'র বিদায়ের প্রার্থণাও তারা জানালেন বলে তিনি জানান।

 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।